হোটেলে জায়গা না পেয়ে স্থানীয়দের বাড়িতে পর্যটকরা
মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে মেঘ-পাহাড়ের মিতালি দেখতে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করায় কটেজ-রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। রুম না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ও মসজিদের বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন অনেকে।
সাজেকের সব রিসোর্ট-কটেজের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই রাত কাটিয়েছেন স্থানীয়দের ঘরে, রিসোর্ট-কটেজের স্টোর রুম ও বারান্দায়। জায়গা না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে ফিরেও গেছেন।
পর্যটকরা বলছেন, শীতে সাজেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য অপরূপ হয়ে ওঠে। মেঘ ও কুয়াশায় ঢাকা পাহাড় শুভ্র সমুদ্রের মতো মনে হয়। শুক্র ও শনিবার (১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি ও বিজয় দিবসের ছুটি মিলিয়ে তারা এই সুন্দর মুহূর্ত দেখতে এসেছেন। এজন্য আগে থেকেই রিসোর্ট-কটেজে বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন তারা।
সাজেকের রিসোর্ট-কটেজ ব্যবসায়ীরা জানান, এই ছুটিতে কয়েক হাজার পর্যটক সাজেকে বেড়াতে এসেছেন। তাদের সংখ্যা রিসোর্ট-কটেজের ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় আবাসন সংকট দেখা দিয়েছে। এখনও হাজার তিনেক পর্যটক রয়েছেন। তবে সাজেকে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের।
রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি জানিয়েছে, তাদের আওতায় ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। এগুলোতে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক থাকতে পারেন। কিন্তু শুক্রবার চার হাজারের বেশি পর্যটক এসেছেন। এজন্য কক্ষ সংকট দেখা দেয়। এবার ছুটি শুরু হওয়ার চার দিন আগেই সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ বুকিং হয়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার যারা কক্ষ পাননি তাদের স্থানীয় মানুষের বাড়ি, রিসোর্ট-কটেজের বারান্দায় থাকতে দেওয়া হয়েছিল। কক্ষ না পেয়ে শনিবার বিকেলে ফিরে গেছেন শতাধিক পর্যটক। অতিরিক্ত যারা আছেন তাদের কেউ স্বজনদের বাড়িতে, আবার অনেকে স্থানীয়দের ঘরে, কেউ কেউ রিসোর্ট-কটেজের স্টোররুম ও বারান্দায় অবস্থান করছেন।
পাঠকের মতামত